Wellcome to National Portal
সরকারী যানবাহন অধিদপ্তর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১st মার্চ ২০১৮

দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের ৪০ (চল্লিশ) কোটি টাকা সাশ্রয়


প্রকাশন তারিখ : 2018-03-01

 

 

দক্ষ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদ, পরিবহন কমিশনার, পরিবহন পুলকে নতুন রুপে সাজিয়েছেন। তিনিএকদিকে আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেছেন, অন্যদিকে সল্প খরচে সরকারের প্রায় ৪০ (চল্লিশ) কোটি টাকা সাশ্রয় করে সরকারি কোষাগারে জমা করতে সমর্থ হয়েছেন। তিনি পরিবহনপুলের গাড়ি মেরামত কারখানায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও দাপ্তরিক কাজে সৃজনশীল পদ্ধতির প্রয়োগসহ বিশেষ ভাবে আইসিটির ব্যবহারের প্রচলন করে অফিস ব্যবস্থাপনা এবং সরকারি যানবাহন পরিচালন, মেরামত ও সংরক্ষনের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছেন। উল্লেখ্য, ১০১টি সিসি টিভি স্থাপন, ডিজিটাল হাজিরার মাধ্যমে হাজিরা গ্রহণ, জেনুইন পাটর্স নির্ধারণে (Quick Response Code Reader) পদ্ধতির ব্যবহার তাঁর গৃহীত কর্মদ্যোগের মধ্যে প্রণিধানযোগ্য।

 

কতিপয় উদাহরণ-

১)   পূর্বের মূল্যের তুলনায় শতকরা ৬০% কম দরে ০২ (দুই) বছরের ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তির আওতায় খুচরা যন্ত্রাংশ ক্রয় করায় সরকারের সাশ্রয় হয় ১৯.৭৮ কোটি টাকা।

২)   ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে সরকারি যানবাহন মেরামত কারখানায় খুচরা যন্ত্রাংশ ক্রয়, পেট্রোল ও লুব্রিক্যান্ট এবং মোটর যানবাহন মেরামত ও সংরক্ষণ খাতে সরকারের সাশ্রয় হয় ৭.০১ কোটি টাকা।

৩)  ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে সরকারি যানবাহন মেরামত কারখানায় খুচরা যন্ত্রাংশ ক্রয়, পেট্রোল ও লুব্রিক্যান্ট এবং মোটর যানবাহন মেরামত ও সংরক্ষণ খাতে সরকারের সাশ্রয় হয় ৪.১১ কোটি টাকা।

৪)   ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে ৫০টি টয়োটা হাইব্রিড ক্যামরি গাড়ি ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারের সাশ্রয় হয় ১.০৬ কোটি টাকা।

৫)  ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে খুচরা যন্ত্রাংশ ক্রয় খাতে পূর্ববর্তী বছরেরর (২০১৫-২০১৬) চেয়ে কম বরাদ্দ চাওয়ায় সরকারের সাশ্রয় হয় ২.২৫ কোটি টাকা।

৬)   বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য ওআইসি(OIC) সম্মেলনের (০৫-০৬ মে, ২০১৮) জন্য ৩০টি BMW গাড়ি ক্রয়ের ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রতিটি গাড়ি ক্রয়ের জন ৮০.৮৯ লক্ষ টাকার অনুমোদিত ক্রয় মূল্যের বিপরীতে সফল নেগোসিয়েশনে ৬২.১৮ লক্ষ টাকায় প্রতিটি গাড়ি ক্রয়ের ফলে ৩০টি BMW গাড়ি ক্রয়ের সরকারের সাশ্রয় হয়েছে ৫.৬১ কোটি টাকা।

 

সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর কর্তৃক ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে সর্বমোট সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে- প্রায় ৪০ কোটি টাকা [১৯.৭৮+৭.০১+৪.১১+১.০৬+২.২৫+৫.৬১ = ৩৯.৮২ কোটি টাকা।]

 

৭)   ৬০% কম মূল্যে গাড়ির খুচরা যন্ত্রাংশ ক্রয়ের পরোক্ষ প্রভাব: যদি যুক্তির খাতিরে ধরে নেয়া যায়, প্রতি বছর মুদ্রাস্ফীতিজনিত কারণে ২০% মূল্য বৃদ্ধি পাবে সেক্ষেত্রে বর্তমান ৪০% হতে ১০০% মূল্যে যেতে আরো ০৪টি র্টাম অর্থাৎ ৮ বছরে (4×2) সময়ের প্রয়োজন হবে। ফলে ৪টি র্টাম তথা ৮ বছরে সরকারের সাশ্রয় হবে আরো ১৮৪ কোটি টাকা।

 

উপরোক্ত সফলতার বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ইতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ফলে জাতির সামনে সরকার ও সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের সুনাম ও ভাবমুর্তি কাঙ্খিতমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতীয় দৈনিক “বাংলাদেশ প্রতিদিন” পত্রিকায় ২২/০৮/২০১৬ তারিখ “সরকারি অফিসে ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত, ‘দৈনিক আমার কাগজ’ পত্রিকায় ০৭/০৯/২০১৬ তারিখ “অবৈধ সুবিধা নিতে মহল বিশেষের কৌশল, সরকারি যানবাহন মেরামত কারখানা অচল করে দিতে নানামুখী ষড়যন্ত্র” দৈনিক আমার কাগজ পত্রিকায় (ক) ২১/০৮/২০১৬ তারিখ সরকারি যাবাহন অধিদপ্তরে দিন বদলের হাওয়া, শতকরা ৫০ ভাগ কম মূল্যে রক্ষনাবেক্ষণ যন্ত্রাংশ কেনার নতুন টার্গেট (খ) ১৭/০৮/২০১৬ তারিখ “দুর্নীতি ও অপচয় রোধে মডেল‘ সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর ’শিরোনামে বেশ কয়েকটি ইতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ১৪/০৮/২০১৬ তারিখ “তদন্তছাড়াই ভয়াবহ দুর্নীতি প্রমাণিত” শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। “যানবাহন অধিদপ্তরে দূর্নীতি দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে ”মর্মে যুগান্তর পত্রিকায় সম্পাদকীয় কলামে প্রকাশিত হয়েছে।

 

২২/০৩/২০১৭ তারিখ Daily Sun ইংরেজি পত্রিকায় এবং ২০ মার্চ, ২০১৭ তারিখ যমুনা টেলিভিশনের ৩৬০ ডিগ্রি অনুষ্ঠানে এ অধিদপ্তরের ব্যাপক ইতিবাচক দিক তুলে ধরা হয়েছে (যা ইউটিউবেও দেখা যায়)।